মোঃ রাকিব হাসান, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ার ভজনপুর ব্রিটিশ ব্রিজ সংলগ্ন সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে ছিল। ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা এই সড়কে চলাচল ছিল অত্যন্ত দুরূহ। প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং যানবাহন চালকরা নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতেন। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠত।
অবশেষে দীর্ঘদিনের সেই দুর্ভোগ লাঘবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর সরবরাহকারী সাপ্লাই সমিতির উদ্যোগে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি কেবল একটি রাস্তা সংস্কার নয়—বরং সাধারণ মানুষের স্বস্তি ও গ্রামের অর্থনীতিতে নতুন গতি ফেরানোর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সংস্কার কাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর সরবরাহকারী সমিতির সভাপতি মোঃ হামিদুল হাসান লাবু, তেঁতুলিয়া পাথর উত্তোলনকারী সমিতির সভাপতি নুর জামান, সাধারণ সম্পাদক জমিরুল ইসলাম এবং কলনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমুখ।
সমিতির সভাপতি মোঃ হামিদুল হাসান লাবু বলেন,
“আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই। দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কষ্ট পেয়েছি। আমি নিজেও প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করি। তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে আজকের এই কাজ হাতে নিয়েছি।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“আমাদের সাপ্লাই সমিতির কার্যক্রম সবসময় মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। সমিতির খোয়া ব্যবহার করে এই সড়কের সংস্কার শুরু করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও এ ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে, যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হন।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তার সংস্কার শুরু হওয়ায় তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। কৃষকরা আশা করছেন, সড়কটি সংস্কারের পর উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারে নেওয়া যাবে, এতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে। ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন, এর ফলে গাড়ির ক্ষতি ও পণ্যের অপচয় বন্ধ হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ জানান, সরকারি উদ্যোগের অপেক্ষা না করে সমিতির নিজস্ব তহবিল ও স্বেচ্ছাশ্রমে এই কাজ শুরু করা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও মানবিক দৃষ্টান্ত।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর সরবরাহকারী সমিতির নেতারা বলেন,
“এই কাজ একান্তই সাধারণ মানুষের জন্য। জনগণের স্বার্থে আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”