কক্সবাজার প্রতিনিধি

চকরিয়া উপজেলা কিংবা কক্সবাজার জেলায় যে সকল মাধ্যমিক / নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আইনী জটিলতা। মহামান্য হাইকোর্ট একটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করলেও, এর পরের দিনই কিছু উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বাচনের তফসিল জারি করেছেন, যার ফলে একটি বড় ধরণের আইনী দ্বন্দ্ব ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

📌 পটভূমি: হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

গত ২২ অক্টোবর, ২০২৫ মহামান্য হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ (বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মোঃ আসিফ হাসান) একটি রুল ইস্যু করেন। তিনি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা ২ মাসের জন্য সম্পূর্ণরূপে স্থগিত করেন।

⚖️ বর্তমান সংকট: আদালতের আদেশ উপেক্ষা?

হাইকোর্টের স্পষ্ট স্থগিতাদেশের মাত্র একদিন পর কিংবা কয়েকদিন পর অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে, চকরিয়া উপজেলা সহ যে সকল মাধ্যমিক শিক্ষা এক একাধিক অফিসার একটি নির্বাচনী তফসিল জারি করেছেন। এই তফসিল অনুযায়ী, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

❓ যা প্রশ্ন তৈরি করছে:

· হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিতকৃত বিধি অনুসারেই কি এই নির্বাচন হবে? যদি হ্যাঁ, তবে তা সরাসরি আদালতের আদেশ অমান্য করা হবে।
· নাকি আগের নিয়মে নির্বাচন হবে? সেক্ষেত্রেও, একটি গেজেটবদ্ধ বিধি স্থগিত থাকা অবস্থায় কোন নিয়মে নির্বাচন হবে, তা একটি জটিল আইনি প্রশ্ন।
· এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনই আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে এবং এর বৈধতা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ থাকবে।

🔎 আইনী দৃষ্টিভঙ্গি:

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামান্য হাইকোর্টের একটি স্থগিতাদেশ পুরো প্রক্রিয়ার ওপর একটি আইনগত নিষেধাজ্ঞা হিসেবে কাজ করে। স্থগিতাদেশ পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনের আওতায় নির্বাচনী কার্যক্রম চালানো “ন্যায়ালয় অবমাননা” (Contempt of Court) এর শামিল হতে পারে, যার গুরুতর আইনি পরিণতি রয়েছে।

📝 সার-সংক্ষেপ:

· ঘটনা: হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও নির্বাচনের তফসিল জারি।
· আইনী অবস্থান: এই তফসিল ও নির্বাচন প্রক্রিয়া হাইকোর্টের আদেশের সাথে সাংঘর্ষিক এবং অবৈধ হওয়ার সম্ভাবনা।
· পরিণতি: এই অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা আদালত অবমাননার মামলা ও বৈধতা নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী আইনি জটিলতার জন্ম দিতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য যৌক্তিক পদক্ষেপ হবে, মহামান্য হাইকোর্টের রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা। এটি প্রতিষ্ঠানের শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত পরিচালনার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।

ℹ️ নোট: এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত তথ্য ও সর্বসাধারণের আলোচনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো পক্ষকে সমর্থন বা প্রত্যাখ্যান করা এর উদ্দেশ্য নয়। আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরাসরি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হ্যাশট্যাগ: #ম্যানেজিংকমিটিনির্বাচন #হাইকোর্টস্থগিতাদেশ #শিক্ষাপ্রশাসন #আইনী_সংকট #চকরিয়া #কক্সবাজার