
এস ডব্লিউ সাগর তালুকদার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে ক্ষমতার প্রভাবকাটিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর মালিকানাধীন জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ডালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় শনিবার সন্ধায় দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৃত আব্দুস সোবহানের পুত্র ইব্রাহিম খলিল (৩৫ -জখমী)।
অভিযুক্তরা হলেন,একই এলাকার মৃত: মোহাম্মদ আলী ( ওরফে মইদর আলী) পুত্র ১। মোঃ আবুল কাশেম (৫০) ২। মোঃ খুর্শেদ আলম (৪০), আবুল কাশেমের পুত্র ৩। মোঃ আবুল হাসেম (২২) এবং স্ত্রী ৪। মোছাঃ জাহানারা বেগম – ওরফে জানু (৪০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা ও তাহারা একে অপরের আপনজন হয়। তারা অত্যন্ত উগ্র, লোভী ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক হওয়ায় সৌদি প্রবাসী ইব্রাহিম খলিল নিরীহ হওয়ায় তার বসত বাড়ির জায়গার উপর অন্যায় ভাবে লোভ, লালসা করে তাহা জবর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা করে আসছে। পূর্বের এই পরিকল্পনায় অভিযুক্তরা শনিবার দুপুরে ধাঁরালো দা, লোহার রড, লাঠি সুঠা নিয়ে ইব্রাহিম খলিলের ভোগ দখলীয় বসত বাড়ির দক্ষিণ সীমানার ভিতরে প্রবেশ করে জমি দখলের চেষ্টায় বাঁশের খুঁটি পুঁতিতে থাকে। ইব্রাহিম খলিল বাঁধা নিষেধ দিলে অভিযুক্তরা উত্তেজিত হয়ে উঠে ও অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্তগণ ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড, লাঠি সুঠা দিয়ে ইব্রাহিম খলিলকে জোর পূর্বক ধরিয়া এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে।
অভিযুক্ত আবুল হোসেন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ইব্রাহিম খলিলের বুকে আঘাত করে কাটা ছিদ্রযুক্ত রক্তাক্ত জখম করে।
ইব্রাহিম খলিল জানান,আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রানে বাঁচতে চিৎকার দিলে তার ছোট ভাই বেলায়েত হোসেন ওরফে বিল্লাল ভাইকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। এসময় বিল্লাল হোসেনকে ও লাঠি সুঠা দিয়া মারপিট করে গুরুতর জখম করে জমি দখল করতে আসা অভিযুক্তরা।
পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে,দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।