
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ এস ডব্লিউ সাগর তালুকদার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর ) সকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম অভিযোগ উত্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাইকপাড়া গ্রামের একটি জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলমান রয়েছে। বিরোধের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দোয়ারাবাজার জোন, সংশ্লিষ্ট জমিতে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, উক্ত জমিতে কোনো পক্ষেরই প্রবেশ কিংবা কোনো ধরনের নির্মাণ বা কার্যক্রম পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও একই ইউনিয়নের উত্থিংগেরগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিন সরকারি আদেশ অমান্য করে বিতর্কিত জমিতে ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আদালতের আদেশ কার্যকর না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন মনোয়ারা বেগম।
তবে অপর পক্ষ ইসলাম উদ্দিন বলেছেন, আমার সমস্ত বৈধ কাগজপত্র আছে এবং আদালতের রায় আমার পক্ষে আসছে। আমি পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আদালতের রায়ের কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, প্রথম পক্ষ হিসেবে রয়েছেন মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, স্বামী—ফজর আলী, গ্রাম—বড়খাল, থানা—দোয়ারাবাজার, জেলা—সুনামগঞ্জ। অপরদিকে দ্বিতীয় পক্ষ হিসেবে রয়েছেন নাজির উদ্দিন (৬৬), পিতা—মৃত খোদা নেওয়াজ এবং আলমগীর (৩১), পিতা—নাসির উদ্দিন; উভয়ের বাড়ি উত্থিংগেরগাঁও, থানা—দোয়ারাবাজার, জেলা—সুনামগঞ্জ।
জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে প্রদত্ত আদালতের আদেশে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জকে উক্ত জমির রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আদেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে তফসিলভুক্ত জমির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বলবৎ রয়েছে।
আদালতের আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ উক্ত জমিতে প্রবেশ করলে কিংবা কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী পক্ষ দ্রুত আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেছেন, উভয় পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। এটি বিজ্ঞ আদালতের বিষয়, বিজ্ঞ আদালতের আদেশই চূড়ান্ত।