সাহিদুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার ): অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সংস্কার নিয়ে সিদ্ধান্ত সরকার এককভাবে নেবে না। বরং রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ ২০২৪-এর প্রথম দিনের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। এই সংলাপের আয়োজন করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ।
মাহফুজ আলম জানান, কমিশন থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর জানুয়ারিতে সব রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি বৃহত্তর আলোচনা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হবে এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক সংস্কারগুলো নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্যই এ সংস্কার প্রক্রিয়া। যদি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের স্বার্থে পরিচালিত না হয়, তাহলে কোনো পরিবর্তনই দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আমরা ৭২-এর সংবিধানের ত্রুটি চিহ্নিত করছি, কারণ এটি প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করেছে।”
ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনগণের সমালোচনা ও অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, “জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা কাজের গতি বাড়ায়। এটি সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হতে পারে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, যেমন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা।