1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি চরফ্যাশনের পাবলিক লাইব্রেরীতে

মুহাম্মদ হাবিব চরফ্যাশন উপজেলা (প্রতিনিধি)
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫

মুহাম্মদ হাবিব চরফ্যাশন উপজেলা (প্রতিনিধি) : ভোলা জেলার চরফ্যাশনের একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটিতে প্রায় অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। প্রতিষ্ঠানে যে জৌলুস থাকার কথা তার ছিটেফোঁটাও প্রতিষ্ঠানটিতে নাই।ফলে জীর্ণ-শীর্ণ ভাবে চলছে পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম।অবকাঠামোগত নাজুক অবস্থাসহ লাইব্রেরীটিতে নেই পর্যাপ্ত বই। ফলে লাইব্রেরীটিতে পাঠক শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। গতকাল (৮ই জানুয়ারি) বিকেল ৪ টায় লাইব্রেরিটিতে গিয়ে একজন পাঠকও পাওয়া যায়নি। লাইব্রেরীয়ান ফরহাদ হোসেনের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি হতাশা প্রকাশ করে জানান,পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রয়োজনীয় বই না থাকায় পাঠক সংকট চলছে।জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম একটি উপজেলা দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশন। আয়তনে দেশের আঠারটি জেলার চেয়ে বড় এ উপজেলা। বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে গড়ে ওঠা এ উপজেলা শহরে প্রায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা রয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদরাসাসহ রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রয়েছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ব্যাংক, বীমা, অফিস, আদালত, সরকারিসহ অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে এখানে নেই আধুনিকমানের সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত সরকারি পাবলিক লাইব্রেরী। উপজেলা প্রশাসনের পরিচালনায় যেটি রয়েছে, সেটিও নানান সমস্যায় জর্জরিত। যার জন্য চাকরিপ্রার্থী যুবক, গবেষকদের জন্য ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। রেফারেন্স গ্রন্থের জন্যে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে চরফ্যাশনের কয়েক জন বিদ্যোৎসাহী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এর পর দীর্ঘ ৪৭টি বছর কেটে গেলেও কেউ এর উন্নয়নের জন্য কোন নজর দেয়নি। যার ফলে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে লাইব্রেরিটির কার্যক্রম। লাইব্রেরিয়ান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেকের কাছে গিয়েছি, কোন সহযোগিতা পাইনি। যতদিন বাঁচি এখানে দায়িত্ব পালন করে যাব। নিজের জীবদ্দশায় লাইব্রেরীটির উন্নতি দেখে যেতে পারলে ভাল লাগত। আশা করি আগামী দিনে প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি হবে।

২১ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভা ও ৪টি থানা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় ৬ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ১০টি কলেজ, ৩টি কামিল মাদরাসা, ৬টি ফাজিল মাদরাসা, ২ শতকের বেশি মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল আলিম মাদরাসা রয়েছে।চরফ্যাশন পাবলিক লাইব্রেরীর পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আরো বলেন, আমি বিভিন্নজনের কাছে গিয়েছি পাবলিক লাইব্রেরীর উন্নয়নের জন্য। এমনকি সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের কাছেও গিয়েছি। কিন্তু কেউ কোন সাড়া দেয়নি; ফলে খুড়িয়ে চলছে লাইব্রেরীর কার্যক্রম। পর্যাপ্ত বিভাগ ওয়ারী বই নেই। সাহিত্য, উপন্যাস, নাটক, রম্যরচনা, গল্প, ভ্রমণকাহিনী, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোস বইসহ রেফারেন্স গ্রন্থ ও ধর্মীয় গ্রন্থের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। আর্থিক দুরাবস্থার কারণে নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় না। মাত্র একটি পত্রিকা রাখা হয়। ফলে পাঠক রেফারেন্সের জন্য দু-চারদিন আগের কোন পত্রিকা খোঁজ করলে দেয়া যায়না। কিছু বই আছে অনেক পুরনো, যা জোরাতালি দিয়ে রাখা। এসব বই নেড়েচেড়ে পড়া সম্ভব নয়।তাই বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

মুহাম্মদ হাবিব চরফ্যাশন উপজেলা (প্রতিনিধি) : ভোলা জেলার চরফ্যাশনের একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটিতে প্রায় অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। প্রতিষ্ঠানে যে জৌলুস থাকার কথা তার ছিটেফোঁটাও প্রতিষ্ঠানটিতে নাই।ফলে জীর্ণ-শীর্ণ ভাবে চলছে পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম।অবকাঠামোগত নাজুক অবস্থাসহ লাইব্রেরীটিতে নেই পর্যাপ্ত বই। ফলে লাইব্রেরীটিতে পাঠক শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। গতকাল (৮ই জানুয়ারি) বিকেল ৪ টায় লাইব্রেরিটিতে গিয়ে একজন পাঠকও পাওয়া যায়নি। লাইব্রেরীয়ান ফরহাদ হোসেনের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি হতাশা প্রকাশ করে জানান,পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রয়োজনীয় বই না থাকায় পাঠক সংকট চলছে।জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম একটি উপজেলা দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশন। আয়তনে দেশের আঠারটি জেলার চেয়ে বড় এ উপজেলা। বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে গড়ে ওঠা এ উপজেলা শহরে প্রায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা রয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদরাসাসহ রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রয়েছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ব্যাংক, বীমা, অফিস, আদালত, সরকারিসহ অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে এখানে নেই আধুনিকমানের সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত সরকারি পাবলিক লাইব্রেরী। উপজেলা প্রশাসনের পরিচালনায় যেটি রয়েছে, সেটিও নানান সমস্যায় জর্জরিত। যার জন্য চাকরিপ্রার্থী যুবক, গবেষকদের জন্য ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। রেফারেন্স গ্রন্থের জন্যে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে চরফ্যাশনের কয়েক জন বিদ্যোৎসাহী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এর পর দীর্ঘ ৪৭টি বছর কেটে গেলেও কেউ এর উন্নয়নের জন্য কোন নজর দেয়নি। যার ফলে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে লাইব্রেরিটির কার্যক্রম। লাইব্রেরিয়ান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেকের কাছে গিয়েছি, কোন সহযোগিতা পাইনি। যতদিন বাঁচি এখানে দায়িত্ব পালন করে যাব। নিজের জীবদ্দশায় লাইব্রেরীটির উন্নতি দেখে যেতে পারলে ভাল লাগত। আশা করি আগামী দিনে প্রতিষ্ঠানটির উন্নতি হবে।

২১ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভা ও ৪টি থানা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় ৬ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ১০টি কলেজ, ৩টি কামিল মাদরাসা, ৬টি ফাজিল মাদরাসা, ২ শতকের বেশি মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল আলিম মাদরাসা রয়েছে।চরফ্যাশন পাবলিক লাইব্রেরীর পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আরো বলেন, আমি বিভিন্নজনের কাছে গিয়েছি পাবলিক লাইব্রেরীর উন্নয়নের জন্য। এমনকি সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের কাছেও গিয়েছি। কিন্তু কেউ কোন সাড়া দেয়নি; ফলে খুড়িয়ে চলছে লাইব্রেরীর কার্যক্রম। পর্যাপ্ত বিভাগ ওয়ারী বই নেই। সাহিত্য, উপন্যাস, নাটক, রম্যরচনা, গল্প, ভ্রমণকাহিনী, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোস বইসহ রেফারেন্স গ্রন্থ ও ধর্মীয় গ্রন্থের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। আর্থিক দুরাবস্থার কারণে নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় না। মাত্র একটি পত্রিকা রাখা হয়। ফলে পাঠক রেফারেন্সের জন্য দু-চারদিন আগের কোন পত্রিকা খোঁজ করলে দেয়া যায়না। কিছু বই আছে অনেক পুরনো, যা জোরাতালি দিয়ে রাখা। এসব বই নেড়েচেড়ে পড়া সম্ভব নয়।তাই বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  

[bangla_date]

© ২০২৪-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট