হারুন আহমেদ, (গোয়াইনঘাট)
সিলেটের গোয়াইনঘাট দমদমীয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যর ওপর চোরাকারবারিদের হামলায় মামলার ঘটনায় জড়িত নেই অনেক কে আসামী করার প্রতিবাদে ও মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে এবং তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার ও পাহাড় তলী গ্রামের লোকজন।
সোমবার ( ১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় উপজেলার ভীতরগুল পাহাড় তলী গ্রামের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জয়দুল হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা দুদ মিয়া,বিউটি বেগম,চকিনা বেগম,রাসিয়া বেগম,শারমিন বেগম সহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,বিজিবি মামলায় যে ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন নিরীহ পরিবারের লোকজন,যারা দিন আনে দিন খায়,চোরাকারবারের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্দোষীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি তাদের।তারা বলেন,প্রকৃত অনেক চোরাকারবারী মামলার এজহার থেকে বাদ পড়েছে আর সমাজের কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের তদবিরে নির্দোষী অনেকে কে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে মামলার ভয়ে পুরুষ শূন্য গ্রাম। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,গত ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে দমদমীয়া সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবি সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় দমদমীয়া বিওপির সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪০ থেকে ৫০ জনের নাম অজ্ঞাত করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিওিতে গত ৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি ইউনিয়নে দমদমীয়া সীমান্তে ভীতরগুল নামক স্থানে অভিযান চালায় বিজিবি।ওই সীমান্তের ১২৬১ পিলারের ১৫০ গজ বাংলাদেশ অভ্যান্তরে ভীতরগুল নামক স্থানে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে ভারতীয় গরু আনছিল। এসময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া করিলে ৪০ থেকে ৫০ জন বিবাদীরা অতর্কিত ভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপরে পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে।এসময় ধাঁরালো দা দিয়ে বিজিবি সদস্য মাসুম বিল্লাহর বাম হাতের কবজির নিচে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। চোরাকারবারিরা পরবর্তীতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।অভিযানে দুটি ভারতীয় গরু আটক করা হয়। গুরুতর আহত বিজিবি সদস্য মাসুম বিল্লাহ কে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি এলাকার সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের।