ডেস্ক নিউজ
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার এপিএসের দুর্নীতি ও পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্তের কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানিছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মোহাম্মদ রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। তিনি আরও জানান, উপদেষ্টার বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টিও তার জানা নাই।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০টি এলাকায় ১০টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি, ধানমন্ডি এলাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাজাহান মিয়া বলেন, সাত শতাধিক কর্মী দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ধানমন্ডি এলাকায় মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিষয়ে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন গত আট এপ্রিল। চলতি বছরের গত ১৪ আগস্ট মোয়াজ্জেম হোসেনকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।