বানারীপাড়া প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের চান্দু মোল্লার বাড়ির সামনে এই অপহরণ সংঘটিত হয়।
জানা যায়, অপহরণকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদার। তার সঙ্গে ছিল এলাকার কুখ্যাত বখাটে সালমান খান হৃদয় (পিতা: আ. ছালাম, গ্রাম: মাদারকাঠী) সহ আরও কয়েকজন। তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সিএনজি ও অটোগাড়ি নিয়ে রাস্তার পাশে ওৎ পেতে থাকে। ওই ছাত্রী পরীক্ষা শেষে ভাইগ্না কাওসারের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় তারা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর করে এবং জোরপূর্বক ছাত্রীকে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে কাওসারকেও মারধর করা হয় এবং তার মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা সাথী আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তার মেয়েকে ইভটিজিং ও কুপ্রস্তাবে উত্ত্যক্ত করছিল হৃদয়। এমনকি তিনি বরিশাল আদালতে এমপি মামলা (নং-১০৩৮) দায়ের করেছিলেন। আদালতে মুচলেকা দিয়েও ফের বখাটেপনায় জড়িয়ে পড়ে হৃদয়।
ঘটনার দিনও একই কায়দায় অপহরণের সময় ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা বাধা দিলেও অপহরণকারীরা তাদেরকেও মারধর করে। পরে সন্ধ্যায় বানারীপাড়া থানায় সাথী আক্তার বাদী হয়ে সালমান খান হৃদয়, মিরন সরদার, শাওন, ফাহিম সিকদার, ইমন সিকদারসহ মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তফা বলেন, “ঘটনার পরপরই থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন বেপরোয়া অপহরণে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মোঃ মেহেদী হাসান
বানারীপাড়া প্রতিনিধি
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৫ ইং