মোঃ আবু তৈয়ব, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, ( প্রতিনিধি):
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক ঘটনার বার্ষিকীতে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর এবং দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি জসিমুদ্দীন।
আজ (৫ মে) সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন— “শাপলা চত্বরে সেদিন যা ঘটেছিল, তা শুধু একটি রাজনৈতিক দমন নয়, বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক নির্মম উদাহরণ। রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র আলেম-ওলামা ও ছাত্রদের উপর যে হামলা চালানো হয়, তা আজও দেশবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়।”
তিনি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি—এই ঘটনায় কারা নিহত হয়েছেন, কতজন নিখোঁজ বা গুম হয়েছেন, সেই সত্য প্রকাশ করা হোক। মিথ্যা মামলায় যে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী আজো হয়রানির শিকার, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।”
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেন, দেশের আলেম সমাজ ও হেফাজত নেতাকর্মীদের দাবি মনে অবিলম্বে শাপলা চত্বরের ঘটনায় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। গণহত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা হোক এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি সত্যিই ন্যায়বিচার ও সুশাসনের পক্ষে হয়, তাহলে শাপলা ট্রাজেডির মতো ঘটনার বিচার না করে তা প্রমাণ করা যাবে না। দেশের মানুষ আশা করে—এই কলঙ্কজনক ঘটনার বিচার হবে এবং নিরপরাধদের মুক্তি মিলবে। দেশর আলেম সমাজ ও তাওহিদী জনতা ডর-ভয়হীনভাবে নিজেদের ধর্মকর্ম ও দাওয়াতী কার্যক্রম স্বাধীনভাবে চালাতে পারবে। অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগ-অনুভূতি ও প্রত্যাশার প্রতি যত্নবান হবে ও সুবিচার-ইনসাফ কায়েমে তৎপর হবে- এই আমাদের কামনা।