মোঃ শফিকুল ইসলাম তুহিন বান্দরবান প্রতিনিধি।।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নলবনিয়া জামে মসজিদটি দীর্ঘকাল ধরে মাটির তৈরি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এরশাদুর রহমান এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি পাকা ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আবেদন জানিয়েছেন।নলবনিয়া এলাকাটি একটি প্রত্যন্ত, হতদরিদ্র ও মেহনতী মানুষের বসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই দিনমজুর ও খেটে খাওয়া। এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত মাটির এই মসজিদটি টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি হলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনো সরকারি আর্থিক অনুদান না পাওয়ায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মসজিদের ভেতরে ছাদ চুয়ানো এবং দেয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকায় মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ আদায়ে সমস্যায় পড়ছেন।মসজিদ কমিটির সভাপতি এরশাদুর রহমান জানান, “আমাদের এই মসজিদটি সম্পূর্ণ মাটির তৈরি। এটি বহু বছর ধরে এভাবেই আছে। কোনো সরকারি অনুদান না পাওয়ায় এখন এটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে মুসল্লিদের নামাজ পড়তেও অসুবিধা হচ্ছে।”অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে নলবনিয়া এলাকায় মুসল্লির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান মাটির মসজিদে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সকল মুসল্লির পক্ষে একসাথে জামাতে নামাজ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে অনেকেই জামাত ছুটে যাওয়ায় হতাশ হচ্ছেন।এমতাবস্থায়, এলাকাবাসী ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের কাছে নলবনিয়া জামে মসজিদটি একটি পাকা ও সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন। এরশাদুর রহমান বলেন, “আমরা মহোদয়ের মতো একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির কাছে আবেদন করছি যেন তিনি এলাকাবাসীর এই প্রাণের দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। একটি পাকা ভবন হলে শত শত মুসল্লির ইবাদত-বন্দেগীর সুব্যবস্থা হবে।”
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নলবনিয়া জামে মসজিদের জরাজীর্ণ অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে একটি আধুনিক ও সুপরিসর পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন। এতে স্থানীয় মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং এলাকার ধর্মীয় পরিবেশ আরও উন্নত হবে।