গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বুগুইল কান্দি গ্রামের নসিব উদ্দিন, আব্দুল বারী,লতা বিবি ও সামছুল ইসলাম একই গ্রামের শাহ আলমের পিতা মৃত ইরফান আলীর কাছ থেকে ৮৪ ও ৮৫ সালে দুই দলিলে বাড়ির জায়গা ক্রয় করেন। দলিল মোতাবেক তারা সেই জায়গায় বসবাস ও ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন। ইরফান আলি মারা যাওয়ার পরে তার ছেলে শাহ আলম ভোগ দখলে নানা রকম হয়রানি ও বাধা দিতে থাকে। এমনকি মাঝে মাঝে টাকা দাবি করে এবং বাড়িতে থাকা গাছ বাঁশ কাটতে গেলে সে বাধা নিষেধ করে। বাড়ির সামনের নদীতে চর হয়ে সেখানে বালু জমেছে। সেই জায়গায় দেখে মৃত ইরফান আলীর ছেলে শাহ আলমের লোভ আরো বেড়ে গেছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে লাগানো বাঁশ মোর্তার গাছ কাটতে গেলে সে তার স্ত্রী ও মেয়েদেরকে দিয়ে ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা করে। ভুক্তভোগীরা বলেন মেয়ে লোক হওয়ায় আমরা কিছু বলতে পারি না। গত বছর আওয়ামীলীগের এক ব্যক্তিকে হাত করে এই জায়গা থেকে তিন লক্ষ টাকার বালু বিক্রি করে নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ করেও কোন সুবিচার পাননি তারা। গত এক বছর এই বিষয় নিয়ে গ্রামে সালিশ হয়েছে। শাহ আলমম কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ বছর আবার এই জায়গা থেকে বালু বিক্রির পায়তারা করছে এবং ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মামলা দেওয়ার ভয় দেখায় শাহ আলম।
এ ব্যাপারে বুগুইল কান্দি গ্রামের কুদ্দুস আলী বলেন,বিগত এক বছর গ্রামবাসী এই বিষয় নিয়ে সালিশ বিচার করেছেন। শাহ আলম কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। গ্রামবাসীর সাথে সে অসদআচরণ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি হাউ মাউ করে কেঁদে বলেন, আমি জমিদারের ছেলে ছিলাম। ভাগ্যক্রমে আজ পথের ভিখারি। তিনি বলেন এই সময় আমার বাবা অসুস্থ ছিলেন,এই সুযোগে তারা সব জায়গা দলিল করে নিয়েছে।