
পুলক সরকার, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
২৬ অক্টোবর/২৫
একজন সফল উদ্যোক্তা পোল্ট্রি খামারি আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকার ইসমাঈল হোসেন টুকু। ২০০০ সালে তিনি তিনটি সেডে মাত্র ৫ হাজার সোনালী মুরগির বাচ্চা নিয়ে তার খামারের যাত্রা শুরু করেন। তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার তিনতলা ও ছয়তলা বিশিষ্ট ৮ টি খামার রয়েছে। সেখানে এখন ১ লাখের বেশি মুরগী উৎপাদন হচ্ছে।
সফল খামারী ইসমাইল হোসেন টুকু বলেন, আমি শুরু থেকেই সোনালী মুরগী দিয়েই আমার খামারের যাত্রা শুরু করি এখনো সোনালী মুরগীই রয়েছে। তিনি বলেন আমার ৮ টি খামারে এখন সব মিলিয়ে ১২০ জন কর্মচারী কাজ করছেন। তিনি বলেন আমার খামারে এখন সোনালীর বাচ্চা রয়েছে ৩০ হাজার, পুলেট রয়েছে ২০ হাজার এবং লেয়ার ডিমের রয়েছে ৫০ হাজার মুরগী।
তিনি বলেন, এস এস বি পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী কমপ্লেক্স, রাফিদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, রিফাদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজসহ আমার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সফল এই উদ্যোক্তা বলেন, আমি এতবড় একজন খামারী অথচ এখনো সরকারি ভাবে কোনদিন কোন ক্রেস্ট বা সম্মাননা পেলাম না।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের আরেক খামারী নুরনবী বলেন, আমি আগে বেকার ছিলাম টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে সোনালী মুরগীর বাচ্চা বাকি নিয়ে আমার খামার শুরু করি, তখন মুরগী বিক্রি করে আমি তাকে টাকা পরিশোধ করতাম। এভাবেই আমি আমার খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি করি। তিনি বলেন আমি টুকু ভাইয়ের খামার দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েই আজ আমিও একজন সফল খামারীতে পরিনত হয়েছি।
আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের খামারী আইয়ুব আলী বলেন, আমি অন্য ব্যবসা করতাম জামালগঞ্জের সফল খামারী ইসমাইল হোসেন টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০০ পিচ সোনালী মুরগীর বাচ্চা নিয়ে প্রথমে আমার খামার শুরু করি তারপর থেকে আমার এখন তিনটি খামার রয়েছে সেখানে আমি এখন ১৫-২০ হাজার করে মুরগী পালন করি। তিনি বলেন, এই খামার করতে টুকু ভাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমি এখন একজন সফল খামারী, আমার খামারে এখন ৮ জন কর্মচারী নিয়মিত কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ইসমাইল হোসেন টুকুর খামারে কাজ করা কর্মচারী রাজু আহমেদ আর গোলাম মোর্শেদ বলেন, আমরা ভাইয়ের খামারে ৮ বছর ধরে কাজ করছি সেখান থেকে আমরা যা পাই তা দিয়েই আমাদের সংসার ভালো চলছে।
আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, জয়পুরহাট তথা আক্কেলপুর উপজেলার মধ্যে ইসমাইল হোসেন টুকু একজন সফল খামারী, তার দেখা দেখি এবং তার কাছ প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন অনেকেই মুরগী লালন পালন করে সফল হয়েছেন। তার খামারসহ অন্যান্য খামারগুলোতে আমরা নিয়মিত তদারকি করি সেই সাথে সব সময় তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকি।