জহুরুল ইসলাম জপি ( স্টাফ রিপোর্টার): শেরপুর জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে (মুর্শিদপুর পীরের দরবার) হাফেজ মিয়া- (৩৯) নামে এক গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ ২৮নভেম্বর সকালে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দরবার শরিফ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান বুধবার ভোর রাতে স্থানীয় কউমি মাদ্রাসার ছাত্র ও অবিভাবক সহ শতাধিক জনতা মাজারে অনৈতিক কাজের অভিযোগে মুর্শিদপুর পীরের দরবারে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ান এ সময় নিহত হাফেজ সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ৮জনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাফেজ মিয়া- সহ ২ জনের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফেজ মিয়া বুধবার ভোরে- মারা যান। এ ঘটনায় লছমনপুর ইউনিয়ন সহ আশেপাশের মাদ্রাসার ছাত্র – শিক্ষক সহ গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হলেও ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে হাফেজের জানাজার নামাজ শেষে কয়েক হাজার মানুষ সকল বাধা টপকে দোজা পীরের দরবারে হামলা, অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে গরু, ছাগল, দুম্বা সহ সকল মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এমন কি সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে মোবাইল ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে শেরপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জানান পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি কে নিয়ে প্রত্যেকটি সড়কে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেওয়ার পরও হাজার হাজার মানুষকে কোন ভাবে আটকানো যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।