মোঃ মিলন সরকার (কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি)
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে কালিয়াকৈর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল।
প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন,
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ।
উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬ থেকে ১৭ বছর সুদূর প্রবাসে বসেও ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। যার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তার সমামনা সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি যথাযথ নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার নির্দেশে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির আয়োজনে মাসব্যাপী গণইফতারের চতুর্থ ধাপের কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে হুমায়ুন কবির খান বলেন,
বিএনপি জন্ম থেকে গণমানুষের দল হিসেবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। সেই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া সরকার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে জনগণের সমর্থন ছিলো বলেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিটি কর্মসূচি থাকে সাধারণ মানুষকে ঘিরে, নেতাকর্মীদের সেইভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।ভিন্নমতাদর্শের কাওকে বা সাধারণ অসহায়শ্রেণীর মানুষদের তারা খাবারের সুযোগ দিতো না। বিএনপির নেতাকর্মীরা আমরা যারা ছিলাম আমরা ইফতারের আয়োজন করতে পারিনাই। আমরা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে যাইতে পারিনাই। কারন আমাদেরকে মামলা হামলা নির্যাতন করে এসব থেকে দূরে রাখা হইছে। বক্তব্যে আরো বলেন, এখন দেখেন ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সারা বাংলাদেশে কত ইফতার মাহফিলের আয়োজন হচ্ছে। শুধু বিএনপি না অনেকে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে করছে, অন্যান্য দল করছে। কিন্তু এই স্বাধীনতাটা কিন্তু কারো ছিলোনা বিগত সময়ে।তাই তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের নিয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের (আল্লহর) শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, আমরা আজ এখানে একত্রিত হইতে পারছি, এই জালেম মুক্ত বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলে বসে ইফতার করতে পারছি এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছি।
উক্ত দোয়া ও মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী, গাজীপুর জেলা জজ কোর্টের এপিপি, গাজীপুর জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব, এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম রফিক। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখতার উজ জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমান খোকন সহ
আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মহসীন সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক, গাজীপুর জেলা যুবদল।মোঃ নাজমুল মন্ডল যুগ্ম আহ্বায়ক, গাজীপুর জেলা যুবদল।
মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, আহ্বায়ক সদস্য, গাজীপুর জেলা যুবদল।
মোঃ বুলবুল সরকার, আহ্বায়ক গাজীপুর জেলা জিয়া সাইবার ফোর্স।
মোঃ নজরুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা যুবদল।
মোঃ সালাহ উদ্দিন, ত্রান ও পূর্নবাসন সম্পাদক, ৯ নং ওয়ার্ড কালিয়াকৈর পৌর যুবদল, মোঃ আশিক শিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮নং ওয়ার্ড কালিয়াকৈর পৌর যুবদল।
মোঃ জাহিদ হাসান, কালিয়াকৈর উপজেলা যুবদল।
মোঃ মিলন সরকার কালিয়াকৈর উপজেলা যুবদল।
মোঃ সেলিম রেজা কালিয়াকৈর উপজেলা যুবদল সহ আরো উপস্থিত ছিলেন। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কালিয়াকৈর থানা উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও কালিয়াকৈর সকল ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ সহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।