আশরাফুল ইসলাম
উপজেলা প্রতিনিধি
ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ
দেড়শ’ বছরের একটি পুরনো শ্মশান ভেঙে বালু ভরাট করে সেখানে গো-হাট তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদের নির্দেশে করা হচ্ছে বলে শ্মশান সংশ্লিষ্ট ও স্হানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিযোগ। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় ইউএনও’র বিচার এবং অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের পাশাপাশি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্হানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, মন্দির কমিটির সভাপতি-সম্পাদক, শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এতে অংশ নেয়। গতকাল বেলা ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ে যান পথচারীরা। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসাইনের আশ্বস্ততায় অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও’র অপসারণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।
বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচিতে উপসি’ত শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক ঘোষ ছোটন, রাজিপুর পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জনি দে, ঈশ্বরগঞ্জ মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব গৌড়, উচাখিলা ইউনিয়নের সার্বজনীন শ্মশান কালীমন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক রাজিব সাহা রাজুসহ একাধিক ব্যক্তির ভাষ্য, প্রায় দেড়শ’ বছরের বেশি পুরনো এই শ্মশানটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সমাধি রয়েছে। যেখানে নিয়মিত দাহকার্য অনুষ্ঠিত হয়। তা-ই নয়, তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ যাদের দাহকার্য অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রতিবছর তাদের স্মরণে এখানে মোমবাতি প্রজ্বলনও করা হয়।