মোঃ নুর আলম (অনলাইন রিপোর্টার)
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রা সরকারি কলেজের দুই উদীয়মান তারকা, জাহিদ হাসান আরাফাত ও সায়মন খান, এখন পুরো বাংলাদেশে হিপহপ সংগীতকে এগিয়ে নেওয়ার এক সাহসী ভূমিকায় রয়েছেন। তাদের গঠিত সংগীতদল JS 2 এখন নতুন প্রজন্মের কাছে একটি পরিচিত নাম।
তাদের প্রকাশিত গান “মাতাব্বর” মুক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই লাখো দর্শকের মন জয় করে নেয়। ইউটিউব এবং ফেসবুকে গানটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, কমেন্টে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের উচ্ছ্বাস ও অনুপ্রেরণামূলক বার্তা। এই গানটি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজের গভীর বাস্তবতা, সিন্ডিকেটের শোষণ ও যুবসমাজের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
প্রতিভা আর প্রতিবাদের মেলবন্ধন
জাহিদ ও সায়মনের ভাষ্যমতে, তারা শুধু গান গাইতে নয়, বরং গানের মধ্য দিয়ে সমাজকে বদলাতে চায়। তাদের কথায়:
“আমরা গানে বলি আমাদের কষ্টের কথা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কথা। আমরা বিশ্বাস করি, একদিন আমাদের গানের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ হিপহপে বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াবে।”
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের হিপহপ সংস্কৃতি এখনও বড় পরিসরে মূল্যায়ন পায়নি। কিন্তু JS 2 এর লক্ষ্য সেই শূন্যতা পূরণ করা, এবং হিপহপকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়া।
শুরুটা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে, এখন সারা দেশে পরিচিতি
জাহিদ ও সায়মন দুজনেই চন্দ্রা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে প্রথম নজরে আসেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রতিভা ছড়িয়ে দেন সারাদেশে। বর্তমানে তাদের JS 2 ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে হাজার হাজার অনুসারী রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
JS 2 এর তরুণ দুই সদস্য জানিয়েছেন, সামনে আরও কয়েকটি হিপহপ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে উঠে আসবে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা, প্রতিবাদ ও স্বপ্নের গল্প। তাদের উদ্দেশ্য—গানকে অস্ত্র বানিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।