মোঃ ইয়াছিন শেখ (কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি)
শুক্রবার (২০ জুন) এই হামলার দাবি করে ইসরাইল। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের সবশেষ যুদ্ধ আপডেটে জানিয়েছে যে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান এবং রকেট লঞ্চারগুলিতে হামলা চালিয়েছে।
আপডেটে দাবি করা হয়, হিজবুল্লাহ ওসব স্থানে তাদের কার্যকলাপ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘লঙ্ঘন’।
এর আগে ইরানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাশেম। এক দীর্ঘ বিবৃতিতে তিনি জানান, ইরানের প্রতি তাদের সমর্থন অবিচল এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ নীরব থাকবে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার হুমকি শুধু ইরানের নয়, বরং গোটা অঞ্চলবাসীর বিরুদ্ধেই এক ধরনের আগ্রাসন।
যদিও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকেই সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি। গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধে বিপর্যস্ত হওয়ার পর থেকে লেবাননের ফ্রন্ট নিষ্ক্রিয়ই রয়েছে।
তবে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘আমরা, হিজবুল্লাহ ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন, ইরানের বৈধ ও স্বাধীন অধিকারের পক্ষে এবং আমেরিকার শত্রুতা ও ক্যান্সারের মতো টিউমার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমরা নিরপেক্ষ নই।’
নাঈম কাশেমের বিবৃতিতে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের ইঙ্গিতও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ও ইসরায়েলের এই ঘৃণ্য আগ্রাসনের মোকাবিলায় হিজবুল্লাহ যা যথাযথ মনে করবে, সেই অনুযায়ী কাজ করবে।’
এ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে হিজবুল্লাহর অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি; এমন দাবি করেছে ইসরায়েল।