ইরান–ইসরায়েল সংঘর্ষে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ের পর অস্ত্রবিরতি কার্যকর
তেহরান/তেলআবিব: টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অবশেষে একটি নিষ্ক্রিয় অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপে সাড়া দিয়ে উভয় পক্ষ বুধবার ভোর থেকে যুদ্ধবিরতির আওতায় সামরিক অভিযান স্থগিত রেখেছে।
জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির আওতায় এখন পর্যন্ত সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলে গোলাবর্ষণ বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে বোঝা যায়, যুদ্ধবিরতি হলেও পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি শান্ত হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিরতি হলো একটি “টেস্ট পজ”—যার মাধ্যমে উভয় পক্ষই পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে এই অস্ত্রবিরতির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ১২ দিনের এই যুদ্ধে শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, বহু পরিবার সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে।
অস্ত্রবিরতির শর্ত অনুযায়ী, উভয় দেশকে সাময়িকভাবে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত হলেও, আন্তর্জাতিক মহল এটি একটি ‘ইতিবাচক সূচনা’ হিসেবে দেখছে।
(সংবাদ প্রেরণ: আন্তর্জাতিক ডেস্ক)