আরিফ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিক্রয়কৃত জমি ফেরত নিতে সুলতান মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা এলাকার জমসের বাজারে এঘটনা ঘটে।নএঘটনার পরদিন বুধবার বিকালে আহতের স্ত্রী জোস্না বেগম পাঁচজনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযাগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- দ্বীন ইসলাম (৩৩) লাভলু মিয়া (৪৫), মিস্টার মিয়া (৪০), বাবলু মিয়া (৫০) এবং রাশেদুল ইসলাম (৩৫)। তারা একই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, ধারাবর্ষা গ্রামের সুলতান মিয়া ২০২৩ সালে আগস্ট মাসে ৪০৫৩/২০২৩ নং সাব-কবলা দলিল মূলে বিবাদীর মায়ের নিকট শাহানাজ বেগমের থেকে ১.৬১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু সেই জমি দখল দিতে বাধাঁ প্রয়োগ করেন অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম। বিষয়টি নিরসন করতে গ্রাম শালিশ বৈঠকও করা হয়। কিন্তু এসব মানতে রাজি নয় দ্বীন ইসলাম। পরে সমাধানের চেষ্টায় অবশেষে সুলতান মিয়া জামালপুর আমলী আদালতে সি.আর কোর্টে একটি মামলা (মামলা নং-১৩০/১) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞ জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে প্রেরণ করে। লিগ্যাল এইড উভয় পক্ষকে জানায় যে, আগামী (৩০ জুন) সরেজমিনে তদন্ত করে বিষয়টির চূড়ান্ত ফলাফল দিবেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিবাদী দ্বীন ইসলাম তার নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পনা করে সুলতান মিয়াকে স্থানীয় জমসের বাজারে গেলে ৫/৭ জন লোক মিলে ঘিরে ফেলে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এ সময় সুলতান মিয়াকে বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় লাভলু এবং হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে দ্বীন ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, দ্বীন ইসলাম তার মাকে ভরণপোষণ ঠিকমত দেইনি। তাই তার মা জমি বিক্রয় করেছেন। সুলতানকে মারধর করা তাদের উচিৎ হয়নি। এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।
মামলার বাদী জোছনা বেগম বলেন, ‘জমিটা কেনাই আমাদের অপরাধ। আমার স্বামীকে হত্যার করার জন্য দ্বীন ইসলাম উঠেপড়ে লেগেছে। এর সঠিক বিচার চাই।
আহত সুলতান মিয়া বলেন, ‘জমি তার মায়ের কাছ থেকে কিনেছি। এখন সে ফেরত চায়। আমি যাতায়াত রাস্তার জন্য ঐ জমি কিনেছি আমার কাগজপত্র সব আছে। অর্তকৃতভাবে হত্যার উদ্দ্যেশে আমার উপর তারা হামলা করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
জমি বিক্রেতা শাহানাজ বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘ছেলেরা আমাকে খরচ দেয়না, “আমি কিভাবে চলি.? তার জন্যই আমি সুলতানের কাছে জমি বিক্রয় করছি। এখন আমার ছেলে দ্বীন ইসলাম আমাকেও মারতে আসে।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জবেদ আলী বলেন, ‘সুলতান জমি কিনেছেন এটা সত্যি। তবে মারামারি সময় সেখানে আমি ছিলাম না।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) রাশেদুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।