প্রতিবেদক: মাহফুজুর রহমান
দেশজুড়ে চলমান সাম্প্রদায়িক হামলা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত সহিংসতার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। “সাধারণ সনাতনী শিক্ষার্থীবৃন্দ”-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক হামলাগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি ধারাবাহিকভাবে সংগঠিত একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে একটি মহল বারবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত ও কোণঠাসা করতে চাচ্ছে। এসব ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং বিচারহীনতার চর্চা দায়ী বলে দাবি করেন বক্তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হামলা হচ্ছে, অথচ সরকার নির্বিকার। সরকারের এই নীরবতা মৌলবাদী শক্তিকে আরও উৎসাহিত করছে। ছাত্রসমাজ কোনো অবস্থাতেই এই অন্যায়ের প্রশ্রয় দেবে না।”
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করার ফল আমরা বহুবার দেখেছি। রাষ্ট্র যদি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে সেই আগুন একদিন সবার ঘরে পৌঁছাবে। এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বিশাল বলেন, “আমি কোনো দলীয় পরিচয়ে নয়, একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি। যারা উপাসনালয় ভাঙে, যারা নিরপরাধ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে, তারা কেবল সংখ্যালঘুদের শত্রু নয়—তারা মানবতারই শত্রু। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ থামবে না।”
সমাবেশের শেষদিকে বক্তারা দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের প্রতি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।