মহসিন কামাল (ষ্টাফ রিপোর্টার)
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মনঃশ্বর গ্রামের মৃত ছামসুল হকের পুত্র খাইরুজ্জামান তার নিজ এলাকায় কয়েক জন ভুক্তভোগীর নিকট প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্বসাত করে আত্বগোপন করেছে। ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় খাইরুজ্জামান এলাকায় এমকেএস ফ্রিল্যান্সিং নামে অনলাইন বিজনেসের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে এবং এই ব্যবসায় অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ভুক্তভোগী সাধারন মানুষকে তার ব্যবসায় অংশীদার হিসেবে নেয়ার কথা বলে নন- জুডিশিয়াল ষ্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর করে ব্যবসার পার্টনার হিসেবে যুক্ত করে এবং এক এক জনের নিকট শ্রেনী ভেদে ৫-৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় মোট টাকার পরিমাণ ৫০,০০০০০(পন্চাশ লক্ষ) টাকা।ভুক্তভোগীরা চুক্তি অনুযায়ী লাভ্যাংশ ও আসল টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক খাইরুজ্জামান পাওনাদারকে তার ব্যবসায়ী হিসাব নাম্বর এমকেএস ফ্রিল্যাসিং, প্রোপাইটরঃ মোঃ খাইরুজ্জামান A/C no – ২৬২১১০০০২৩১৪৫ ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিঃ কুড়িগ্রাম এলপিসি শাখা বরারর চেক প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা উক্ত চেক ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে ডিজঅর্নার সার্টিফিকেট প্রদান করে উক্ত চেক ফেরত প্রদান করলে ভুক্তভোগীরা খাইরুজ্জামানের সহিত বিষয়টি নিয়া যোগাযোগ করলে সে গাঁঢাকা দেন এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গত জানুয়ারি ২০২৫ ইং হইতে পলাতক অবস্থায় আছেন। তার সহিত যোগাযোগ করতে না পারায় একজন ভুক্তভোগী গত১৩/০৩/২৫ ইং কুড়িগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল আদালতে এন আই এক্ট এর ১৩৮ ধারায় প্রতারক খাইরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মামলা নং- সি আর ২৮০/২৫ (কুড়ি). উক্ত মামলায় প্রতারক খাইরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে আদালত CW( আদালত গ্রেফতারি) আদেশ জারি করেছেন। প্রতারক খাইরুজ্জামান এখনও পলাতক রযেছে অন্যান্য ভুক্তভোগীরা ও এলাকাবাসী জানান তাদেরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তারা আশা করছেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আদালত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি উক্ত প্রতারক কে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।