 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :
এই সমাজে আজকাল যারা বেশি প্রচারে ব্যস্ত, তারা নয় বরং যারা নীরবে কাজ করেন, তাঁরাই সত্যিকারের মানবিক মানুষ। এমনই একজন মানুষ আলহাজ্ব এনামুল ইসলাম। যিনি মানবিক কাজের প্রচারের চাইতে মানুষের কল্যাণের কাজে বেশি মনোযোগী। বাহ্যিক সৌন্দর্য মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তবে ব্যক্তিত্ব মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মানুষ ব্যক্তিত্বের কারণে হয় স্মরণীয় ও সম্মানীয়। আবার ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই হয় নিন্দনীয়। ব্যক্তিত্ব মানবসম্পদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্পদ, যার মাঝে এই সম্পদ আছে তার অন্য কোনো সম্পদ না হলেও চলে। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ আত্মপ্রচার বিমুখ এবং নিজ কাজে বিশ্বাসী হয়। তাদের দ্বারা সমাজ হয় আলোকিত ও মানুষ হয় উপকৃত। এমন একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব হলেন আলহাজ্ব এনামুল ইসলাম। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের লংপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি মাদ্রাসায় “কাফিয়া” (উচ্চ মাধ্যমিক) পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ২২ বছর সৌদি আরব অবস্থান করেন। বর্তমানে ৩ বছর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসে রয়েছেন।
প্রবাসে থাকা অবস্থায় এনামুল ইসলাম বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। উল্লেখ্য তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ডৌবাড়ী ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্ট,সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি গোয়াইনঘাট প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্ট ও সদস্য বোর্ড অফ ট্রাস্ট,চেয়ারম্যান কনফিডেন্স বিজনেস গ্রুপ এবং জেদ্দা সামাজিক সাংস্কৃতিক ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি (সাবেক) পদবিতে ছিলেন।
ছাত্র জীবন থেকে প্রচণ্ড মেধাবী, ভদ্র, নম্র এবং নীতিনিষ্ঠ একজন মানুষ তিনি। কিন্তু এসবের চেয়েও বড় পরিচয়-তিনি একজন নিঃস্বার্থ মানবিক মানুষ। কারও ক্যামেরায় ধরা না পড়লেও, কারও বাহবায় মুখর না হলেও, তাঁর কাজগুলো সমাজের প্রতিটি স্তরে আলো ছড়াচ্ছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সহযোগিতা,ঈদের সময় বঞ্চিত শিশুদের পোশাক বিতরণ,গরিব অসহায় মানুষের পোশাক প্রদানসহ সমাজিকভাবে সকল ধরনের সহযোগিতায় তার রয়েছে অস্বীকার্য অবদান। সদ্য তিনি হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ডৌবাড়ি ও ফতেপুর দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল কাঁপনা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
আলহাজ্ব এনামুল ইসলাম বলেন,এসব কাজ তিনি কখনো প্রচারের জন্য করেননি বা কারো কাছে বাহবা প্রত্যাশা নয়। তিনি বিশ্বাস করেন,ভালো কাজ প্রচারের জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
বর্তমান দিনে যখন টাকার মানুষেরাই “মানবিক” নামে পরিচিত, তখন আলহাজ্ব এনামুল ইসলামের জনকল্যাণে করা কাজগুলো সমাজের অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মাঝে আশা জাগায়, ভালোবাসতে শেখায় এবং ভাবতে শেখায়- মানবতা এখনো বেঁচে আছে। তাই লিখতে দ্বিধা নেই আত্মপ্রচারের যুগে নিরবে আলো বিলানো ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব এনামুল ইসলাম।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মানবিক কর্মকাণ্ডে অনেকে ইতোমধ্যে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন। কেউ প্রচারের আলোয়, কেউবা নিভৃতে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, যেভাবেই হোক- মানবিক উদ্যোগ হোক অব্যাহত। কারণ, কাজ প্রচারিত হলেও মানবিকতার প্রকাশ ঘটে, তাতে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ে, সহযোগিতার পরিসর প্রসারিত হয়।