1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

নিয়োগপত্র ছাড়াই ঋণ বিতরণে আইন লঙ্ঘন

প্রতিবেদকের নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার (প্রতিনিধি)


জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঘুষের টাকায় ঋণগ্রস্ত করার অভিযোগ।কক্সবাজার
জেলার মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী এমপিও ভুক্ত হওয়ার আগেই সোনালী ব্যাংক মহেশখালী শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১ এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারী চাকরি স্থায়ী হওয়ার আগে এবং নিয়োগপত্র স্থায়ী না থাকলে বেতনভিত্তিক ঋণ গ্রহণ করতে পারেন না। এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালাতেও বলা হয়েছে যে, এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর দুই বছরের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা হয় এবং সেই সময়ের আগে কোনো ঋণ গ্রহণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
অভিযোগের বিস্তারিত
প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি নথি থেকে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের অন্তত আটজন শিক্ষক ও কর্মচারী চাকরি স্থায়ী হওয়ার আগেই ঋণ গ্রহণ করেছেন।ঋণ গ্রহণের পর
শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন থেকে জোরপূর্বক কিস্তি কেটে নেওয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে এক শিক্ষক নাম প্রকাশ
না করার শর্তে জানান,প্রধান শিক্ষক এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদের এমপিও খরচের ঘুষদেওয়ার জন্য ঋণ নিতে বাধ্য করেছেন। আমাদের কোনো স্থায়ী
” নিয়োগপত্র ছিল না। এখন নিয়মিত কিস্তি দিতে না পারায় আমার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলার হুমকি দিচ্ছে।”নথিতে দেখা গেছে,

ঋণ প্রাপ্তদের মধ্যে আছেন —
মোহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ বাবুল, মোহাম্মদ সৈয়দ নূর, মোঃ রবিউল হাসান রুবেল, শফকত ওসমান, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বাবু, মোহাম্মদ আমিন শফিকসহ আরও অনেকে।
আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়টি স্পষ্ট
১. বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা (BRPD সার্কুলার):
স্থায়ী নিয়োগপত্র এবং চাকরি স্থায়ী না হলে কোনো বেতন ভিত্তিক ঋণ দেওয়া যাবে না।
এখানে তা স্পষ্টভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালা:
এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর দুই বছরের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।স্থায়ী হওয়ার আগে কোনো ঋণ গ্রহণ করা অবৈধএবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৩. ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ৪৫ ধারা:
আইন ভঙ্গের মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তা ঋণ অনুমোদন করলে তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের আওতায় দুর্নীতি হিসেবে গণ্য হবে।
স্থানীয়দের ক্ষোভ
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহল জানান,
“বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা যোগসাজশে অবৈধ ঋণ বিতরণ করেছেন। শিক্ষকদের এখন ঋণগ্রস্ত করে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”
ব্যাংক কর্মকর্তার হুমকি
অভিযোগকারী শিক্ষকরা জানান, নিয়মিত কিস্তি দিতে না পারায় ব্যাংক ম্যানেজার তাদের নোটিশ পাঠাচ্ছেন এবং মামলার ভয় দেখাচ্ছেন।যদিও ঋণ অনুমোদনের সময় তাদের চাকরি স্থায়ী ছিল না, এবং কোনো নিয়োগপত্রও ছিল না।
তদন্তের দাবি
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক ও অভিভাবকরা বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন,
“অবৈধভাবে অনুমোদিত এসব ঋণ বাতিল করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক মহেশখালী শাখার কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চাকরি স্থায়ী হওয়ার আগে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে, যা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

[bangla_date]

© ২০২৪-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট