কক্সবাজার প্রতিনিধি
চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রসিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে সরকারি প্যাড অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি এবং বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক চাকরীর দায়িত্বে থাকাকালে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাৎ এবং নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদুল মোস্তফা তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন।
সাময়িক বহিষ্কারের পরও তিনি প্রতিষ্ঠানের সরকারি প্যাড এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র অবৈধভাবে ব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব অপরাধের কারণে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি দমন আইন এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কর্মকাণ্ড নিম্নোক্ত আইনি ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে:
১. দণ্ডবিধি ধারা ৪৬৩, ৪৬৫, ৪৬৮ ও ৪৭১ – সরকারি কাগজপত্র জালিয়াতি ও প্রতারণা
২. দণ্ডবিধি ধারা ৪২০ – প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ
৩. দণ্ডবিধি ধারা ৪০৬ ও ৪০৯ – অর্থ আত্মসাৎ এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ
৪. দণ্ডবিধি ধারা ৪৬৬ – সরকারি নথি জালিয়াতি
৫. দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ধারা ৫(২) – সরকারি ক্ষমতা ও অর্থের অপব্যবহার
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতিকুর রহমান-কে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। ইউএনও মহোদয় অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ এবং সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।