1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

আশার সংসার ভালোবাসায় সিক্ত

মোঃ মিলন হক 
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

আশার সংসার ভালোবাসায় সিক্ত।

মোঃ মিলন হক

করিমের জন্ম বলদিয়া গ্রামে।সে একজন বৃত্তবান পরিবারের সন্তান।তার বাবা একজন মসজিদের ইমাম। করিম পড়াশোনায় অমনোযোগী। তার তিন বোন ও দুই ভাই।সে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করে।

তার দুই বোনের যৌতুকে বিয়ে দেওয়ায় এবং ছোট দুই ভাই বোনের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে পরিবারের টানাপোড়েন পড়ে।করিম তার বন্ধুদের সঙ্গে কাঠমিস্ত্রির কাজ শেখে। কাঠমিস্ত্রির পেশায় বেশ দক্ষতা অর্জন করে।

একদিন কাজের জন্য অনেক দূর যেতে হয় হেডমিস্ত্রী সঙ্গে। কাজটি হেড মিস্ত্রীর আত্মীয় বাড়িতে । চৌয়ারি ঘর বানানোর জন্য।

মোট তিনজন মিস্ত্রী যায়।

যে গ্রামে হেড মিস্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়ি।সেই গ্রামের নাম শ্যামপুর। গ্রামে গিয়ে , পরদিন থেকে কাজ শুরু করে।কাজ শেষ করতে পনেরো দিন লাগে। যেদিন বাড়ি আসবে সে দিন সন্ধ্যায় আবার নতুন কাজ পায় ঐ গ্রামে।

শ্যামপুর গ্রামের মোকসেদ আলী এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ের নাম আশা ছেলে ছোট নাম বারেক।আশা নবম শ্রেণীতে পড়ে। আশা দেখতে ,মুখাকৃতি গোলাকার।বেশ লম্বা,ফর্সা, পাতলা। বাম চোখের তিল রয়েছে।ডান গালের ঠোঁট নিচের তিল আকর্ষণ করে। হাসিতে গালে টোল পড়ে।চুল গুলো একরাশ কালো কাজল রেখার মতো পিঠে খেলা করে।

করিম আশা দেখার পর তার প্রেমে পড়ে যায়।

করিম আশার নাম্বার জোগাড় করে।আশা বোতাম ফোন ব্যবহার করে। বোতাম ফোনে মেসেজের মধ্যে দুজনের যোগাযোগ হয়।

আশা করিম কে পছন্দ করে না। আশা করিম কে বলে,আমি আপনার সঙ্গে প্রেম করবো না।

আমার পরিবার মেনে নিবে না।

করিম অনেক কিছু বলে রাজি করার চেষ্টা করে।

আশা কিছুতেই রাজি হয় না। করিম মেসেজ দিলেও আশার রিপ্লাই আসে না। করিম আশা কে বলে,“মেয়ে মাইনস্যের মন মোমবাতির মতো হয়। পেঁজা তুলোর ন্যায় নরম হয়। আপনার মন তো দেখি পুরোয় লোহার পিণ্ড।

পাথরের মত শক্ত।“

করিম আপ্রাণ চেষ্টা করে, আশা কিছুতেই রাজি হয় না। মেসেজের রিপ্লাই ও দেয় না। বিকালে দেখা হলেও কোনো কথা বলে না।

করিম বলে,“ আর কত কষ্ট দিবেন!যত পারেন দেন। কোন আপত্তি নেই। নেই কোন অভিযোগ।একটা কথা মনে রাখেন আজকে যত কষ্ট দিতেছেন একদিন এই কষ্টের জন্য নিজেই হয় হাসবেন না হয় কান্না করবেন।“

আশার ও বেশ পছন্দ হয় কিন্তু অবজ্ঞা করে।

করিমের মেসেজের কোন রিপ্লাই দেয় না।

একদিন রাতে করিম মেসেজের অপেক্ষায় আছে, কখন মেসেজ দিবে এই আশায়।

আশার কোন মেসেজ না পেয়ে করিম বলে,

“সে কি জানে না তার মেসেজের জন্য,কেউ তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো আছে। নদীর জল শুকিয়ে গেছে ।কখন বৃষ্টি হয়ে নামবে?না অভিমানে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে?“

আশা বলে তার মা অসুস্থ। আর কোন মেসেজ দেয় না।

কিছুদিন পর আশা প্রেমে পরে যায়।কাজ শেষ হলে করিম তার গ্রামে চলে আসে। ফোনের মাধ্যমে কথা বার্তা হয়।আশা মেট্রিক পাশ করার পর কলেজে ভর্তি হয়। আশার সম্পর্কের কথা তার পরিবারে প্রকাশ পায়।তার বাবা মোকসেদ আলী বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র দেখতে শুরু করে।আশার মুখে পাত্রের কথা শুনে,করিমের ভালোবাসার আকাশ অন্ধকার মেঘের আড়ালে ঢেকে যায়। “ভালোবাসার মানুষ যদি সত্যিকারের হয় মানুষের অস্তিত্বের সঙ্কট ও বিপর্যয়ে পড়লে তার উদ্ধার পাওয়া যায়।“

করিম আশার বাবার সঙ্গে কথা বলে । করিমের বাবা – মা ও কথা বলে বিয়ের বিষয়ে। মোকসেদ আলী কিছুতেই রাজি হয় না।

আশা করিম কে বলে, “তুমি আমাকে বিয়ে করো না হয় আমি মারা যাবো। আমার এ প্রাণের অস্তিত্ব শুধুই তোমার জন্য।“

করিম আশাকে বলে, আমি যাচ্ছি তুমি কোন মতে করে বাজারে আসো, আমি যাচ্ছি তোমাকে নিয়ে আসার জন্য। আশা বাজারে এলে, মোকসেদ আলী জানতে পারে তা মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেছে। বাস স্ট্যান্ড থেকে আশা আর করিম কে ধরে এবং করিম কে কয়েকটা চড় দেয় এরপর আশা এবং করিম কে বাড়িতে নিয়ে আসে।

বাড়িতে আশার পর করিমকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে দেয় এবং মারতে শুরু করে। মার খেয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে।গ্রামবাসীরা এসে করিম কে মোকসেদ আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করে।

জব্বার হোসেন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এই জব্বার হোসেনের বাড়িতে কাজের জন্য করিম গিয়েছিল। পরে হুঁশ ফিরে এলে, তিন দিন

জব্বারের বাড়িতে থাকে এবং জব্বার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ।তিন দিন পর করিম বাড়িতে ফিরে যায়।

সুস্থ হয়ে কিছু দিন পর আবার আসে আশাকে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এবার নিয়ে পালিয়ে যায়। মোকসেদ আলী করিমের বাড়িতে যায় এবং করিমের নামে মামলা করে। করিম পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে আশাকে। মামলা আদালতে চলতে থাকে, মোকসেদ এর চাচাতো বড়ভাই হাসেম মোকসেদ কে অনেক রাগারাগী করে মামলার বিষয়ে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য। হাসেম বলে,মেয়ের ভাগ্যে যা লেখা ছিল তা হয়েছে। আমাদের বংশে মেয়ের বিয়ের পর ছাড়িয়ে নেওয়া হয় না। তুই যদি মেয়েকে ছাড়িয়ে নিস। তুই আমাদের এখানে থাকতে পারবি না।

এবংকি কেউ মারা গেলে তুই আসতে পারবি না।

করিম ছেলেটা ভালো আমিও তো দেখেছি। মেয়ের কিছুই হবে না। তোর সৌভাগ্য এমন জামাই পেয়েছিস। মেয়ের চিন্তা বাদ দে করিম বাবাজি

আছে ওর জন্য।

বিয়ের একবছর পর করিম আশা কে নিয়ে আসে

তার বাবার কাছে এবং ক্ষমা চাই। আশার গর্ভে ছয়মাসের বাচ্চা এটা শুনে মোকসেদ আলী খুশিতে কান্না করে।

আশার সংসার ভালোবাসায় সিক্ত। পৃথিবীর সমস্ত সুখ তাদের ভালোবাসায় বিরাজ করে । করিমের কুঁড়ে ঘরে রাণি আশা।তার শাসনে চলে করিমের রাজ্য। করিমের দুই ছেলে হয়।

“যে ভালোবাসায় যত কষ্ট আছে।সে ভালবাসা

ততই অমরত্ব লাভ করে। কখনো পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে, কেউ প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে দিবে না। পরিস্থিতি এক দিন না একদিন স্বাভাবিক হবেই।প্রিয় মানুষ চলে গেলে ফিরে আসবে না।“

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  

[bangla_date]

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট